শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জে লাখো ভক্তের পদচারনায় মুখরিত গোপাল চাঁদ মেলা, স্নান উৎসব মোরেলগঞ্জ প্রেমের সম্পর্কে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ মোরেলগঞ্জে ছাত্রদলের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল… সাতক্ষীরায় রাইফেল ক্লাবে স্বাধীনতা দিবস শুটিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। খেতেরপাড়া লৌহজংয়ে রহস্যজনক হত্যাকান্ড : গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু হাসানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যযন্ত্রের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁওয়ে ‘মামলা বাণিজ্য’, ওসি শহিদুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবেন– মির্জা ফখরুল,, চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের আহবায়ক গঠন  মাও. মোজাহেরুল কাদের আহবায়ক, সৈকত দাশ ইমন সদস্য সচিব কাজী মনিরের উদ্যোগে মোরেলগঞ্জে ঈদ বস্ত্র বিতরণ সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের আয়োজনে দোয়া অনুষ্ঠান ও গরিব, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টা ক্ষেত থেকে জীবিত কন্যাশিশু উদ্ধার

ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের আহ্বান —- এম এ বার্ণিক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভাষা-আন্দোলন গবেষক ও জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলন সভাপতি -এম এ বার্ণিক বাংলা ভাষার রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিবস উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে নাগরিক সংবাদ কে বলেন

“বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিবস” হলো, ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬; অথচ গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ‘ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ’ উক্ত দিবস পালন করে বিবৃতি দেয় যে, দিবসটি নাকি ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬।
২. ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের এহেন ইতিহাস বিকৃতির আয়োজনগুলো বন্ধ করার জন্য, আমি একজন ভাষা-আন্দোলনের গবেষক হিসেবে, আহ্বান জানাচ্ছি। জাতিকে বারবার বিভ্রান্ত না-করার জন্য তাদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩. সত্য তুলে ধরার স্বার্থে, সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ১৯৫৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের গণপরিষদে( পূর্ব-পাকিস্তানের আইনসভায় নয়) উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এটাই পাকিস্তানের সংবিধানে গঅন্তর্ভুক্ত হয়।
৪. সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না-করয়,অসন্তুষ্টচিত্তে ভাষা-আন্দোলনের জনক ও স্থপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম, পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে, পূর্ব পাকিস্তানের আইনসভায় ৩০সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ তারিখে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
৫. কাসেম সাহেবের প্রস্তাবটি ছিলো, কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসভায় পাশকৃত সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার আলোকে, পূর্ব-পাকিস্তানের অফিস-আদালতে ও শিক্ষায় যাতে বাংলায় চালু করা হয়, তা তুলে ধরা।
৬. কোথায় করাচিতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইসভার সাংবিধানিক স্বীকৃতি, আর কোথায় ঢাকায় পূর্ব-পাকিস্তানেরন প্রাদেশিক আইনসভার একটি প্রস্তাব? এভাবে ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস চর্চার নামে জাতিকে বিভ্রান্ত করার করাণ একটিই, এবং তা-হলো অজ্ঞতা, না-জেনে, না-বুঝে, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের অপতৎপরতা!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *